ব্রেকিং নিউজ
বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট আসিমের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে, স্বজনদের আহাজারি রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য যে দোয়া পড়তেন বিদায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষিকা লিপিকা দস্তিদারের অবসরে যাওয়ায় বিদায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান ছেলে পর এবার কন্যা সন্তানের মা হলেন পরীমনি পাইকগাছা শাখার বাস মালিক সমিতি'র আহবায়ক কমিটি গঠন ঢাকায় মেট্রো স্টেশনের টয়লেট ব্যবহারে গুনতে হবে টাকা
×

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৫/৪/২০২৪, ১০:৫৯:৪২ PM

মাংস, আদা-রসুন সহ সবধরনের মসলার বাজারও ঊর্ধ্বমুখী

রমজানের দুই সপ্তাহ পার হতে না হতেই বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। ঈদের আগে আগে মাংসের বাজার আরও উর্ধ্বমুখী। মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার কোনোটারই কোনও প্রভাব পড়েনি বাজারে। রোজা শুরুর আগেও যে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২১৫ টাকা বা তার আশপাশে, আজ তা আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে যে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, আজ তা ৭৮০ টাকা।

রমজানের দুই সপ্তাহ পার হতে না হতেই বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। ঈদের আগে আগে মাংসের বাজার আরও উর্ধ্বমুখী। মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার কোনোটারই কোনও প্রভাব পড়েনি বাজারে। রোজা শুরুর আগেও যে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ২১৫ টাকা বা তার আশপাশে, আজ তা আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে যে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, আজ তা ৭৮০ টাকা।দাম বাড়লেও ঈদের জন্য এখনই মাংস কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। তাদের শঙ্কা, ঈদের আগে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। বিক্রেতারাও বলছেন, চাহিদার ওপর মাংসের দাম বাড়া-কমা নির্ভর করছে।

ঈদের আগে কেবল মাংসের দাম বেড়েছে এমনটা নয়। বেড়েছে আলু, আদা, রসুন, এলাচ, কাজুবাদাম, জয়ত্রীর মতো পণ্যের দামও।শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিন দেখা যায় ঈদের আগে মানুষের কেনাকাটার এই চিত্র। সরকার গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির মাংস ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু এই নির্দেশের কোনও তোয়াক্কা না করেই বাজারে নিয়মিতই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। দেশি মুরগি, কক ও লেয়ার মুরগির মাংসও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। তবু চাপ উপেক্ষা করেই আসন্ন ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। কারণ শঙ্কা আছে, দুই-একদিনে এই দাম না আরও বেড়ে যাবে।

রমজানের আগে শেষ শুক্রবার, গত ৮ মার্চ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ২১৫ থেকে ২২৫ টাকা কেজিতে, কক মুরগি ৩১৫-৩২৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০/ ৬৮০ টাকায়।



আজ (৫ এপ্রিল) ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ২৩৫ থেকে ২৫০ টাকা, কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৩৫ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার দেড় কেজির বেশি ওজনের মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০২ টাকা কেজি দরে, যা আজ বিক্রি হয় ২৩৫ টাকায়।গরুর মাংস ৭৬০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।


গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, কক মুরগির দাম ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, লেয়ার মুরগির দাম ১৫ টাকা এবং দেশি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়েছে কেজিতে।বাজার করতে আসা মো. আজিজ বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি আড়াইশ’ টাকা, এটা ভাবা যায়?  তবু কষ্ট করে কিনে নিয়েছি। কাল সকালে যে ৩০০ টাকা হবে না তার তো কোনও গ্যারান্টি নাই।আরেক ক্রেতা ইয়াসিন বলেন, শুধু ঈদ দেখেই এত দাম দিয়ে মুরগির মাংস কিনলাম। তা না হলে কিনতামই না। যে ভাব দেখছি, মনে হচ্ছে মাংসের দাম আরও বাড়বে।

এসময় আরেক ক্রেতা কিছুটা আক্ষেপ করে বলেন, দেশি মুরগির মাংসের দাম তো আরেকটু হলে গরুর মাংসের দামের কাছেই চলে যাবে!দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আল-আমিন চিকেন হাউজের বিক্রেতা শামসু বলেন, দাম কেন বাড়ছে জানি না। তবে আরও বাড়বে।দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে বি. বাড়িয়া চিকেন হাউজের বিক্রেতা মো. সেলিম বলেন, ঈদের জন্য সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ঈদের আগে দাম কিছুটা বেশিই থাকে।দাম আরও বাড়বে কিনা জানতে চাইলে সেলিম বলেন, বিক্রি যদি বেশি হয় দাম আরও বাড়বে। আর যদি বিক্রি কম হয় তাহলে দাম আরও কমে যাবে। তবে এখন পর্যন্ত বেচাকেনা ভালোই চলছে।

আদা-রসুনের দামও চড়া 

আজ মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৪৫ টাকা, নতুন দেশি রসুন ১৪০-১৬০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ২২০, চায়না আদা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা।


আর বড় সাইজের দেশি রসুনের দাম আবার বেড়েছে ২০ টাকা। এছাড়া আলুর দাম ৫ টাকা ও মিয়ানমারের আদার দাম ২০ টাকা বেড়েছে কেজিতে।আলু পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. শরীফ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসায় দাম কমে গেছে। তবে আলু, রসুনের দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

মসলার বাজারও ঊর্ধ্বমুখী
ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের মসলার বাজার। আজ বাজারে এলাচ ৩২৫০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকা,  লবঙ্গ ১৬০০ টাকা, জিরা ৭০০ টাকা, জয়ফল ১২৫০ টাকা, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকা, আলুবোখারা ৪৮০ টাকা, কিশমিশ ৫৫০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২৯৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১২৫০ টাকা, কাঠবাদাম ১০৮০ টাকা, চিনা বাদাম ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে এলাচ গত সপ্তাহে ২৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা। এছাড়াও জয়ত্রী বিক্রি হয়েছে ৩৪০০ টাকা ও কাজু বাদাম বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকায়। এক সপ্তাহে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ২০০ ও ৫০ টাকা।



বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত ও রেডিমিক্স মসলাও রয়েছে বাজারে। এগুলোর মধ্যে মাংসের মসলা ৯০ টাকা, মুরগির মাংসের মসলা ৯০ টাকা, কালা ভুনার মসলা ৮০ টাকা, বিরিয়ানির মসলা ৫৫ টাকা, মেজবানির মাংস মসলা ৮০ টাকা, রোস্টের মসলা ৬০ টাকা, কাবাব মসলা ১০০ টাকা, চটপটির মসলা ৫০ টাকা, জর্দা মিক্স ১৫০ টাকা, ফালুদা মিক্স ১০০ টাকা, ফিরনি মিক্স ৬০ টাকা, হালিম মিক্স ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি প্যাকেট।